Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৬ মে ২০২৫

এক নজরে এপিএসসিএল

আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানী লি: একটি সরকারি মালিকানাধীন পাবলিক লিমিটেড কোম্পানী এবং বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ পাওয়ার হাব। এর ০৬ টি ইউনিটের বর্তমান মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ১৬৪৭ মেগাওয়াট। বাংলাদেশ সরকারের বিদ্যুৎখাত উন্নয়ন ও সংস্কার কর্মসূচির অংশ হিসেবে আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেড (এপিএসসিএল) ২৮ জুন ২০০০ তারিখে কোম্পানি আইন ১৯৯৪ –এর অধীনে নিবন্ধিত হয়। এপিএসসিএল –এর নিবন্ধন নং ৪০৬৩০ (২৩২৮)/২০০০। ২২ মে ২০০৩ তারিখে বিপিডিবি এবং এপিএসসিএল এর মধ্যে স্বাক্ষরিত একটি সাময়িক বিক্রেতা চুক্তির মাধ্যমে আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কমপ্লেক্স কে (সম্পদ ও দায় সহ) এপিএসসিএল-এর কাছে হস্তান্তর করা হয়। ০১ জুন ২০০৩ তারিখ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোম্পানীর সকল কার্যক্রম শুরু হয় এবং পাওয়ার স্টেশনের অপারেশন, সংরক্ষণ ও উন্নয়ন কার্যক্রম সহ কোম্পানীর সামগ্রিক কার্যক্রম ব্যবস্থাপনা পরিচালক, নির্বাহী পরিচালক (প্রশাসন/এইচআর),  নির্বাহী পরিচালক (পরিচালন ও সংরক্ষণ), নির্বাহী পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) ও নির্বাহী পরিচালক (অর্থ) এর সমন্বয়ে গঠিত ম্যানেজমেন্ট টিম এর উপর ন্যস্ত করা হয়।

 

কোম্পানির আর্টিক্যালস্‌ অব এসোসিয়েশন অনুযায়ী মোট শেয়ারের ৯১.০১% বিপিডিবি, ৮.৯৮% বিদ্যুৎ বিভাগ এবং অবশিষ্ট শেয়ার অর্থ বিভাগ, পরিকল্পনা বিভাগ এবং জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিভাগ -এর মধ্যে বিতরণ করা হয়।

 

এই পাওয়ার স্টেশনে উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হয় এবং জাতীয় গ্রিডের মাধ্যমে পুরো দেশ জুড়ে ভোক্তাদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। এই পাওয়ার স্টেশন দেশের মোট চাহিদার ৬.৬% -এরও বেশী বিদ্যুৎ উৎপাদন করে জাতীয় অর্থনৈতিক বিকাশের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিঃ কর্তৃক সরবরাহকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস এই বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের প্রধান জ্বালানী হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। স্টীম তৈরি এবং শীতলীকরণের জন্য প্রয়োজনীয় পানি পার্শ্ববর্তী মেঘনা নদী থেকে নেওয়া হয়। শীতলীকরণের জন্য ব্যবহৃত বিপুল পরিমাণ পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ডিসচার্জ চ্যানেল দিয়ে নদীতে ছাড়া হয়। উল্লেক্ষ্য যে, শুষ্ক মৌসুমে ডিসচার্জ চ্যানেলের বিপুল পরিমাণ পানি আশুগঞ্জ, সড়াইল ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রায় ৩৬,০০০ একর জমি সেচের জন্য ব্যবহার করা হয়।